গত ২৪ ঘন্টায় AI এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সামনে এসেছে। Xiaomi ইলেকট্রিক ভেহিকল ও AI ব্যবসায় দ্রুত অগ্রগতির মাধ্যমে বাজারের নজর কেড়েছে, Apple তার গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন আরও বৈচিত্র্যময় করছে এবং Palantir অতিরিক্ত ভ্যালুয়েশনের চাপের কারণে ধারাবাহিকভাবে পতন ঘটিয়েছে। নিচে আজকের AI জগতের ৩টি প্রধান ঘটনা তুলে ধরা হলো :
Q2-তে Xiaomi-এর নিট মুনাফা 113.5% YoY বেড়ে RMB 11.9 বিলিয়নে পৌঁছেছে এবং সমন্বিত নিট মুনাফা 75.38% YoY বেড়ে RMB 10.83 বিলিয়ন হয়েছে। মোট আয় 30.5% YoY বেড়ে RMB 116 বিলিয়নে পৌঁছেছে, যা টানা তিনটি ত্রৈমাসিক ধরে RMB 100 বিলিয়নের উপরে রয়েছে।
স্মার্ট EV এবং AI ইনোভেশন ব্যবসা থেকে আয় 234% YoY বেড়ে RMB 21.3 বিলিয়ন হয়েছে এবং অপারেটিং ক্ষতি কমে RMB 300 মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। Q2-তে কোম্পানিটি 81,300 গাড়ি ডেলিভারি করেছে এবং মোট ডেলিভারি ছিল 300,000 ইউনিট। উচ্চ মার্জিনযুক্ত SU7Ultra মডেলের সম্পূর্ণ কোয়ার্টারের বিক্রয় আয়ের গঠনগত উন্নতি এনেছে।
Xiaomi Q2-তে AI-তে RMB 7.8 বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে (+41.2% YoY), যার মধ্যে প্রায় RMB 1.95 বিলিয়ন AI সংক্রান্ত প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে (MiLM-12B অন-ডিভাইস মডেল, XuanTie X1 NPU এবং স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং)। কোম্পানি ভবিষ্যতে AI-তে আরও বিনিয়োগ করবে, গাড়ি-ক্লাউড সংযোগ এবং স্মার্ট হোম AI-এর ওপর বেশি গুরুত্ব দেবে।
মন্তব্য: Xiaomi আশা করছে যে তাদের EV ব্যবসা বছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে লাভজনক হবে — যা একটি নতুন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশকারী কোম্পানির জন্য একটি বড় মাইলফলক। এটি শুধু পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক শক্তিকেই তুলে ধরে না, বরং তাদের সাপ্লাই চেইন এবং খরচ নিয়ন্ত্রণ দক্ষতাকেও প্রমাণ করে। অন-ডিভাইস AI কৌশল কম ল্যাটেন্সি ও প্রাইভেসি সুরক্ষার ক্ষেত্রে Xiaomi-কে অন্যদের থেকে আলাদা অবস্থানে রাখে।
Apple ঘোষণা করেছে যে তারা প্রথমবারের মতো সমস্ত চারটি iPhone17 মডেল ভারতে উৎপাদন করবে, যাতে তৃতীয় পক্ষের সাপ্লায়ারের ওপর নির্ভরতা কমানো যায় এবং শুল্কের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
এই সম্প্রসারণ Tata Group এবং Foxconn-এর সাথে মিলিত ভাবে ভারতে নতুন কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে করা হচ্ছে। গত চার মাসে ভারতে উৎপাদিত iPhone-এর মোট রপ্তানি ইতোমধ্যে ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
মন্তব্য: বৈশ্বিক শুল্ক উত্তেজনার পরে Apple সাপ্লাই চেইন বৈচিত্র্যিকরণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ভারতে উৎপাদন কেবল বাণিজ্য বাধা এড়াতে সাহায্য করে না, বরং স্বল্প শ্রম ব্যয়ের সুযোগও তৈরি করে, যা তাদের বৈশ্বিক উৎপাদন কাঠামোকে আরো দক্ষ করে তোলে। Tata Group-এর মতো স্থানীয় সংস্থার সাথে কাজ করার মাধ্যমে Apple ভারতীয় বাজারে তার উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করছে।
S&P 500-এর সবচেয়ে দামি শেয়ারগুলোর একটি হয়ে ওঠার পর, Palantir-এর শেয়ার ১৩ আগস্টের পর থেকে টানা পাঁচ কার্যদিবস ধরে পড়েছে। যদিও বিনিয়োগকারীরা আগে AI-চালিত বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং লাভজনক সরকারি চুক্তির উপর ভরসা রাখছিলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাজারের মনোভাব দ্রুত বদলেছে।
মন্তব্য: অনেক বিশ্লেষকের মতে Palantir-এর মূল্যায়ন অত্যধিক উচ্চ। শিল্প-গড় মূল্যায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হলে, কোম্পানিটির বার্ষিক রাজস্ব অন্তত ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হওয়া দরকার — অথচ ২০২৫-এর রাজস্ব পূর্বাভাস মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলার। এই বিশাল পার্থক্যই সাম্প্রতিক মূল্য সংশোধনের মূল কারণ।
আরো এআই নিউজ, ব্যবসায়িক অন্তর্দৃষ্টি এবং প্রযুক্তি ট্রেন্ড জানতে ভিজিট করুন: https://iaiseek.com
গত ৭২ ঘণ্টায় এআই অঙ্গনে কী কী বড় ঘটনা ঘটেছে, জানতে পড়ুনঃ
১৯ আগস্ট ২০২৫ · ২৪ ঘণ্টার AI আপডেট : সাইবার সুরক্ষার চাহিদা বৃদ্ধি, SoftBank-এর Intel বিনিয়োগ, AI ক্লাউড প্রতিযোগিতা তীব্রতর